মোহাম্মদপুরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ
মোহাম্মদপুরের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে ফুটপাত দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্য, প্রতিনিয়ত মোহাম্মদপুরে ঘটছে চাঁদাবাজি খুন মারামারি ছিনতাই, গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিনিয়ত আলোচনার শীর্ষে মোহাম্মদপুরের অপরাধীদের অপরাধ কর্মকাণ্ড কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৯ নাম্বার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল, ইউসুফ ও রনি তিনজনের বিরুদ্ধে ইব্রাহিম খলিল নামে ছাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করেন, লিটন মাহমুদ বাবুর ছত্রছায়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল তার সঙ্গীয় বাহিনী। ৪০ হাজার টাকা এডভান্স ও মাসে ৮০০০ আট হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে কামরুল গংরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগগুলিতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে দোকান বসানোর অভিযোগ রয়েছে।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী ছাত্র ইব্রাহিম খলিল মোটা অংকের টাকা এডভান্স সহ মাসিক চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করেন, কামরুল গং দের। বেশ কিছুদিন খলিল অসুস্থ থাকায় স্বেচ্ছাসেব দলনেতা কামরুল তার দোকানটি সরিয়ে অন্য আর একজনকে ভাড়া দিয়ে দেন, পরবর্তীতে খলিল তার টাকা ফেরত চাইলে তার সঙ্গে টালবাহানা শুরু করেন ও হুমকি ধামকি দেন, এমনকি জীবননাশের হুমকি ও প্রদান করেন।
জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, কামরুল মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি নেতা লিটন মাহমুদ বাবু ওরফে তেরে নাম বাবুর শিষ্য যার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ ।
অভিযোগে থাকা কামরুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমরা ১৭ বছর দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি এটা কোন চাঁদাবাজি না, দোকান বসিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বিনিময়ে এসে ব্যবসা করেছে। এটা তো খারাপ কিছু না। তাকে উপকার করেছি বিনিময়ে সে আমাকে সম্মান করেছে। এটা নিয়ে আপনি কেন কথা বলছেন?
মোহাম্মদপুর থানার এসআই আকবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম বাঁদিকে বিশ হাজার টাকা দিয়ে দফারফা করতে চেয়েছিল কিন্তু বাদী মানেননি তবে এটা কোন চাঁদাবাজি না।
জনবহুল ঢাকা শহরে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে অবাধে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে গাড়ি রিকশা চলাচলের বিঘ্নিত হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রার মূল্যবান সময়। ব্যক্তি মালিকানা বা মার্কেট বিহীন জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় দোকান বসিয়ে নীরব চাঁদাবাজির এমন মহা উৎসবে সুশীল সমাজ প্রশাসন যেন নিরব।
একজন পুলিশের কর্মকর্তা চাঁদাবাজের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও যদি বলেন, এটা কোন চাঁদাবাজি না তাহলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেন, এই ধরনের চাঁদাবাজ ও অপরাধীদেরকে শেকর থেকে তুলে আনতে হবে কাদের নেতৃত্বে তারা এই ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে। এবং তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং প্রশাসনের কেউ যদি এই বিষয়ে সহযোগিতা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স